2. গৌরীপুর, জাতীয়, ময়মনসিংহ জেলা, রাজনীতি, স্লাইড
3. গৌরীপুরে উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ ॥ সড়ক-মহাসড়কে তোরণ আর তোরণ, সবার দৃষ্টি কেন্দ্রে!

গৌরীপুরে উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ ॥ সড়ক-মহাসড়কে তোরণ আর তোরণ, সবার দৃষ্টি কেন্দ্রে!

‘পদ’ থেকে জোর তদবিরে ব্যস্ত পদপ্রার্থী নেতাকর্মী; সবার দৃষ্টি কেন্দ্রে! সিংহভাগ প্রার্থীরা ছুটছেন ঢাকায়। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট রাজনৈতিক বায়োডাটা (সিভি) আর কর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন তারা। সভাপতি পদে সম্ভাব্য ২০জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬জন প্রার্থী তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ছুটছেন তৃণমূলকেও সন্তুষ্ট করতে। প্রার্থীদের তোরণ, ব্যানার ও পোস্টারের জন্য স্থান দখল নিয়ে রীতিমতো মৌন লড়াই শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক শেখ রাসেল মিনিস্টেডিয়াম আর গৌরীপুর আরকে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামের চারপাশে শুধু তোরণ আর তোরণ! ১৯বছর পর আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর/২০২২) বিকাল ৩টায় হতে যাচ্ছে এ উপজেলার সম্মেলন।
এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। উদ্বোধন করবেন জেলা আ’লীগের সভাপতি এডভোকেট মো. জহিরুল হক খোকা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, জেলা আ’লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি। প্রধান বক্তা জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। অতিথি হিসাবে থাকবেন জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ হাসান অনু, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. এ.কে.এম আব্দুর রফিক, সদস্য নাজনীন আলম, এডভোকেট নীলুফার আঞ্জুম পপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হেলাল উদ্দিন। সঞ্চালনা করবেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ম. নূরুল ইসলাম।
জানা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৌরীপুর উপজেলা শাখার সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০০৩সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। সেই সম্মেলনে ১৭০ কাউন্সিলারের ভোটে সভাপতি পদে ডা. ক্যাপ্টেনব (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এমপি নির্বাচিত হন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী তরুণ শিল্পপতি এম এ হান্নান পেয়েছিলেন ৬৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ৮৫ ভোট পেয়ে বিধু ভূষণ দাস নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী দেওয়ান কাঞ্চন খান পেয়েছিলেন ৬৬ ভোট, আব্দুল আউয়াল খান পাঠান ৪৩ ভোট, রঞ্জন সরকার ৩৫ ভোট ও কামাল পাশা মতি ৯ ভোট পেয়েছিলেন। ওই সম্মেলনে ২৪৬ জনের মধ্যে ২ জন অনুপস্থিত ছিলেন ও ৮টি ভোট বাতিল হয়েছিল। সম্মেলনে গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ৪জন সহসভাপতি, ১জন সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ৫জনসহ ইতোমধ্যে ২৬জন মারা গেছেন। তবে এবারের সম্মেলনে থাকছে না তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভোটাধিকার। তাই সবার দৃষ্টি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের দিকে। কেন্দ্র আর তৃণমূলের সমর্থনের জন্য ছুটছেন অবিরত। তবে তৃণমূলের ভোট না থাকায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আ’লীগের নেতাকর্মীদের কদর কমেছে।
সম্মেলনে সভাপতি পদে ইতোমধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ, জেলা আ’লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এ.কে.এম আবদুর রফিক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মুর্শেদুজ্জামান সেলিম, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুল (ভিপি বাবুল), উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হেলাল উদ্দিন আহাম্মেদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ম. নূরুল ইসলাম, সহসভাপতি অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট জসিম উদ্দিন আহমেদ, জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা ডা. মো. মতিউর রহমান, সদস্য নাজনীন আলম, এডভোকেট নীলুফার আনজুম পপি, উপজেলা আ’লীগের সদস্য সাবেক মেয়র মো. শফিকুল ইসলাম হবি, আ’লীগ নেতা রঞ্জন সরকার, এডভোকেট মোজাম্মেল হোসেন, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতা শওকত উজ্জামান শাহীন, রামগোপালপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মাস্টার। সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মুন্নাফ, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিন্টু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রাবেয়া ইসলাম ডলি, যুব বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মোতালিব বিএসসি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সাদেকুর রহমান সেলিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোমনাথ সাহা, গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর দেওয়ান মাসুদুর রহমান খান সুজন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি, পৌর আ’লীগের সহসভাপতি হারুন উর রশিদের নাম শোনা যাচ্ছে।
তৃণমূলের নিবেদিত কর্মী সজ্জনব্যক্তি হিসাবে পরিচিত শফিকুল ইসলাম মিন্টু। ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। দীর্ঘ ১৯বছর উপজেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এবারের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে আশাবাদী। সম্মেলনে এ পদে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন জুয়েল, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুন্নাফ। একমাত্র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সোমনাথ সাহার প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ রফিকুল ইসলাম দিপু, গৌরীপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুকনুজ্জামান পল্লব, অচিন্তপুরের সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক, মাওহার সভাপতি নুর মোহাম্মদ কালন, সহনাটীর সভাপতি রুহিদাস আচার্য্য, রামগোপালপুরের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম মাস্টার, ডৌহাখলার সভাপতি মো. কাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল হক সরকার, ভাংনামারীর সভাপতি সার্জেন্ট (অব.) মো. নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাকিত হাসনাত দুলন। সংগঠনের নিবেদিত কর্মী হিসাবে পরিচিত সাদেকুর রহমান সেলিম। তিনি উপজেলা ও জেলা ছাত্রলীগে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন। তিনি ভাষা সৈনিক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. এমএ সোহবানের পুত্র। এবারের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর